Last Updated on 8 months by Shaikh Mainul Islam
অনেকেই জানতে চায় বায়োগ্যাস কাকে বলে, কিভাবে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি হয়। অনেকে আবার জানতে চান বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।
পশু পাখি কিংবা গবাদি পশুর বর্জ্য বা পচনশীল যেকোনো পদার্থকে অক্সিজেন বা বাতাসের অনুপস্থিতিতে রেখে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তাকে বায়োগ্যাস বলে। এসব পচনশীল পদার্থ কিংবা বর্জ্য পদার্থকে বাতাস থেকে দূরে রাখলে সেখানে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
আজকের পোষ্টে আমরা জানব, বায়োগ্যাস কি, বায়োগ্যাসের সুবিধা সমূহ, বায়গ্যাসের ব্যবহারবিধি, বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি, বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির ধাপসমূহ, বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির খরচ এবং বায়োগ্যাস সম্পর্কিত অধিক জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন উত্তর সম্পর্কে জানবো।চলুন জেনে নেওয়া যাক বায়োগ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু।
বায়োগ্যাস কি । কি দিয়ে তৈরি হয় বায়োগ্যাস
যেকোনো পচনশীল বর্জ্য পদার্থ বা পশু পাখি কিংবা মানুষের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে এনারবিক ডাইজেশন (Anaerobic digestion) অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে পচাতে হয়। তখন এক প্রকার অণুজীব জৈব পদার্থকে ভেঙ্গে মিথেন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে।
বায়োগ্যাস উৎপন্ন করার প্রক্রিয়াকে এনারবিক ডাইজেশন (Anaerobic digestion) প্রক্রিয়া বলে। মানুষ, পশুপাখি, গবাদি পশুর বর্জ্য সহজ লভ্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বায়োগ্যাস তৈরিতে এইসব বর্জ্য ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কি । প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন শক্তি সঞ্চিত থাকে
এতক্ষণে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন বায়োগ্যাস কি এবং কি দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপন্ন করা হয়। এখন জেনে নেওয়া যাক বায়োগ্যাস ব্যবহারের সুবিধা সমূহ। অর্থাৎ বায়োগ্যাস দ্বারা আমরা কি কি সুবিধা পেতে পারি বা বায়োগ্যাস দ্বারা আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি।
বায়োগ্যাসের ব্যবহার ও সুবিধা সমূহ
প্রায় ১৫ টির বেশি সুবিধা পাওয়া যায় বায়োগ্যাস ব্যবহার থেকে। শুধু তাই ই নয়, প্রকৃতিকে সুন্দর রাখতে বায়োগ্যাসের ভুমিকা অপরিসীম। কিভাবে বায়োগ্যাস প্রক্রিতিকে রক্ষা করতে পারে তা উপকার সমূহ জানলেই জেনে নিতে পারবেন। চমুন জেনে নেওয়া যাক বায়োগ্যাসের ব্যবহার বা সুবিধা সমূহ।
১) খুব অল্প জায়গার মদ্ধে তৈরি করা যায় বায়োগ্যাস প্লান্ট।
২) একবার তৈরিতে অনেক দিন কাজ করে এবং টিকে থাকে।
৩) উপাদান কৃত বর্জ্য থেকেপরিবেশ দূষণ হয় না।
৪) রান্নায় সুবিধা হয়।
৫) কৃষি জমির জন্য সার পাওয়া যায়।
৬) গ্রাম পর্যায়ে জীবন যাপনে আধুনিকতা আসে।
৭) পরিবেশ রক্ষা হয়।
৮) গ্রিন হাউস গ্যাসের স্তরের উপর চাপ কমে।
৯) বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
১০) বায়োগ্যাসের বর্জ্য মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
এছারাও আর একাধিক উপকারিতা আছে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরিতে। বায়োগ্যাস কি জানার পরে এবার জানলাম বায়োগ্যাসের ব্যবহার এবং সুবিধা সমুহ।
এবার আমরা বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানবো। চলুন বায়োগ্যাস কি জানার পরে এখন জেনে নেওয়া যাক বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি
বায়োগ্যাস তৈরির জন্য উপাদান হিসেবে বর্জ্য পদারথ বা গবাদি পশু পাখির বিষ্ঠা প্রয়োজন হবে। এরপর হাউজ তইরি করতে হবে।
হাউজ তৈরি করার জন্য ইট, সিমেন্ট, বালুর দরকার হবে। এরপর কএক প্রকারের পরিমাণ মতো মেশিনারিজ (পাইপ, সুইচ, গ্যাসের চুলা) লাগবে।
বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির সম্পূর্ণ ধারনা ভিডিওর মাধ্যমে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এখানে ক্লিক করে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি এবং উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
এতক্ষনে বায়োগ্যাস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম। এখন বায়োগ্যাস সম্পর্কে আর কিছু বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
বায়োগ্যাস কি । কিছু তথ্য
গ্রাম পর্যায়ে অনেকেই বায়োগ্যাস তৈরিতে উৎসাহী হয়। তবে বায়োগ্যাস সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকাু বায়োগ্যাস তৈরির স্বপ্ন সপ্নই থেকে যায়।
এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পরে বায়োগ্যাস সম্পর্কে সঠিক সকল ধারনা পাবেন।
বায়োগ্যাস প্লান্ট বাংলাদেশ এর অনুকূলে খুবই উপকারি একটি প্রজেক্ট।
দেশে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা নির্ধারিত মূল্যে করে দিতে পারে আপনার বারিতে সুন্দর একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট।
এছারা বায়োগ্যাস প্লান্ট করার জন্য খুব বেশি পরিমান খরচ হয় না। অনেকে জানতে চান বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির খরচ সম্পর্কে। আপনাদের জন্য এই ধারন্তা ক্লিয়ার করছি।
মূলত কত বড় বা কোন মাপের বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করবেন তার উপর নির্ভর করে আপনার খরচের পরিমাণ।
তবে, সাধারণত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে স্বাভাবিক সাইজের বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা সম্ভব।
বায়োগ্যাস নিয়ে সর্বশেষ
আজকের পোষ্টে আমরা জেনেছি বায়োগ্যাস কাকে বলে (সুবিধা সমুহ) সহ বিস্তারিত। জেনেছি বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে Dainikkantha এ।
1 thought on “বায়োগ্যাস কাকে বলে । বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি”